Class 6 poribesh chapter 2 পরিবেশ ও বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায়:আমাদের চারপাশের ঘটনাসমূহ

 Class - 6 
 পরিবেশ ও বিজ্ঞান
দ্বিতীয় অধ্যায়:আমাদের চারপাশের ঘটনাসমূহ


 ষষ্ঠ শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞানের দ্বিতীয় অধ্যায় আমাদের পরিবেশের ঘটনা সমূহ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আলোচনা এগুলো থেকে পরীক্ষার প্রশ্ন আসা সম্ভাবনা সব থেকে বেশি আছে।
Class - 6   পরিবেশ ও বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায়:আমাদের চারপাশের ঘটনাসমূহ

১) একমুখী ঘটনা কাকে বলে?

উত্তর: যে ঘটনা একবার ঘটলে আর উল্টোদিকে ফিরে যাওয়া যায় না, তাদের একমুখী ঘটনা বলে। যেমন- চাল ফুটিয়ে ভাত রান্না হল।

২) উভমুখী ঘটনা কাকে বলে?

উত্তর:কিছু ঘটনা একবার ঘটে যাওয়ার পর যে সকল পদার্থের বা বস্তুতে ঘটছে তাদের আবার আগের অবস্থায় ফিরে পাওয়া যায়, তাদের উভমুখী ঘটনা বলে। যেমন- মোমবাতির গলন।

৩) পর্যাবৃত্ত ঘটনা কাকে বলে?

উত্তর:যে সকল ঘটনা একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর পুনরায় ঘটে, তাদের পর্যাবৃত্ত ঘটনা বলে। যেমন-জোয়ার ভাটা।

৪) অপর্যাবৃত্ত ঘটনা কাকে বলে?

উত্তর:যেসব ঘটনা কোনো সময়ের নিয়মে ঘটে না তাদের অপর্যাবৃত্ত ঘটনা বলে। যেমন- ঝড়বৃষ্টি হওয়া।

৫) অভিপ্রেত ঘটনা কাকে বলে?

উত্তর:যে সকল ঘটনা প্রকৃতি বা মানুষের কোনো ক্ষতি করে না, তাদের অভিপ্রেত ঘটনা বলে। যেমন- বৃক্ষরোপণ।

৬) অনভিপ্রেত ঘটনা কাকে বলে?

উত্তর:যে সকল ঘটনা প্রকৃতি বা মানুষের ক্ষতি করে, তাদের অনভিপ্রেত ঘটনা বলে। যেমন-শব্দদূষণ, গাছ কাটা প্রভৃতি।

৭) প্রাকৃতিক ঘটনা কাকে বলে?

উত্তর:যে সকল ঘটনা প্রকৃতিতে নিজে থেকেই ঘটে, মানুষের কোনো হাত নেই, তাদের প্রাকৃতিক ঘটনা বলে। যেমন- দাবানল, অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা প্রভৃতি।

৮) মনুষ্যসৃষ্ট ঘটনা কাকে বলে?

উত্তর:যে সকল ঘটনা মানুষের দ্বারা ঘটে থাকে, তাদের মনুষ্যসৃষ্ট ঘটনা বলে। যেমন- উনুন জ্বালিয়ে রান্না করা।

৯) দাবানল কি?

উত্তর:বনাঞ্চলে গাছের শুকনো ডালের পরস্পর ঘর্ষণের ফলে যে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তাকে দাবানল বলে।

১০) দুটি রাসায়নিক সারের নাম লেখ।

উত্তর:ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট, ইউরিয়া।

১১) দুটি রাসায়নিক কীটনাশকের নাম লেখ।

উত্তর:কার্বারিল, ম্যালাথিয়ন।

১২) ভৌত পরিবর্তন কাকে বলে?

উত্তর:যে পরিবর্তনে মূল পদার্থটিকে পুনরায় ফিরে পাওয়া সম্ভব, তাকে ভৌত পরিবর্তন বলে। যেমন- তাপ নিস্কাশনে জলের বরফে পরিণত হওয়া।

১৩) রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে?

উত্তর:যে পরিবর্তনে মূল পদার্থের গঠন, ধর্ম ও বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ বদলে গিয়ে নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থে পরিণত হয়, তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে। যেমন- চাল ফুটে ভাত রান্না হওয়া।

১৪) শীতকালেই কেন শিশির জমে?

উত্তর:শীতকালের রাতে বাতাস ঠাণ্ডা হলে বাতাসে থাকা জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা হয়ে ঘনীভূত হয় এবং জলের ফোঁটা সৃষ্টি করে। এই জলের ফোঁটাই শিশিররূপে গাছের পাতা, টিনের চাল বা শানবাঁধানো উঠোনে জমা হয়।

১৫) পার্থক্য লেখ: ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তন।


ভৌত পরিবর্তন রাসায়নিক পরিবর্তন
১)এই পরিবর্তনে পদার্থের বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে,
কিন্তু অণুর গঠনের কোনো পরিবর্তন ঘটে না।
১)এই পরিবর্তনে পদার্থের অণুর গঠনের পরিবর্তন ঘটে।
 ফলে নতুন ধর্মবিশিষ্ট অন্য পদার্থ উৎপন্ন হয়।
২)এই পরিবর্তন অস্থায়ী, অর্থাৎ নতুন পদার্থ থেকে আবার পূর্বের পদার্থ ফিরে পাওয়া সম্ভব। ২)এই পরিবর্তন স্থায়ী, অর্থাৎ নতুন পদার্থ থেকে পূর্বের পদার্থকে পুনরায় ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।
৩)এই পরিবর্তনে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া হয় না। ৩)এই পরিবর্তনে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে।



১৬) রেললাইনে জোড়ের মুখে ফাঁক রাখা হয় কেন?

উত্তর:রেললাইনে জোড়ের মুখে ফাঁক রাখা হয়। কারণ রোদের তাপে বা রেল চলাচলের ফলে গরম হয়ে রেললাইন দৈর্ঘ্যে বেড়ে যেতে পারে। তখন যদি বাড়ার জায়গা না পায় তখন রেললাইন বেঁকে যেতে পারে। তাই রেললাইন বাড়ার জায়গা রাখার জন্যই জোড়ের মুখে ফাঁক রাখা হয়।

১৭) গোরুর গাড়ির চাকায় লোহার বেড় পরানোর সময় লোহার বেড়টা গরম করে বাড়িয়ে নেওয়া হয় কেন?

উত্তর:কারণ কাঠের চাকায় ওই বেড় পরানোর পর ঠাণ্ডা করলেই সেটি চাকায় আঁট হয়ে বসে যাবে।

১৮) কোনো বোতলের মুখে তার ধাতুর তৈরি ঢাকনা এঁটে বসে গেলে কি করা যেতে পারে?

উত্তর:বোতলের ঢাকনাসহ মুখটা আগুনে গরম করতে হবে। ঢাকনাটি ধাতুর তৈরি হওয়ার ফলে সেটি তাপের সংস্পর্শে আয়তনে বেড়ে গিয়ে আলগা হয়ে যাবে।

১৯) শহরের পানীয় জলে মাঝে মাঝে ঝাঁঝালো গন্ধ পাওয়া যায় কিসের জন্য?

উত্তর:কারণ জলে ক্লোরিন মেশানো হয়।

২০) জলে ক্লোরিন মেশানো হয় কেন?

উত্তর:জলকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য।

২১) পানীয় জলকে কিভাবে জীবাণুমুক্ত করা যেতে পারে?

উত্তর:জীবাণু মারার জন্য জলের মধ্যে ক্লোরিন মেশানো যেতে পারে।

এছাড়া পানীয় জলে হ্যালোজেন ট্যাবলেট মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলেও জীবাণু মরে যায়।

২২) একটি উদাহরণ দাও যেখানে ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন একইসঙ্গে ঘটে

উত্তর:মোমবাতি জ্বালালে মোম যেমন পুড়ে যায় তেমনই কিছু পরিমাণ মোম গলেও যায়। এক্ষেত্রে ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন একসঙ্গে ঘটে। মোমের পুড়ে যাওয়া হল রাসায়নিক পরিবর্তন এবং মোমের গলন হল ভৌত পরিবর্তন।

২৩) অনেকক্ষণ কেটে রাখা ফল খাওয়া উচিৎ নয় কেন?

উত্তর:কিছু জীবাণু কাটা ফলে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটায় এবং বংশবৃদ্ধি করে। আবার কাটা ফলে রোগজীবাণুর বাহক মাছি এসে বসতে পারে। তা থেকে নানারকমের অসুখ হতে পারে। তাই অনেকক্ষণ কেটে রাখা ফল খাওয়া উচিৎ নয়।

২৪) কেটে রাখা আপেল কিছুদিন রেখে দিলে বাদামি ছোপ হয়ে যায় কেন?

উত্তর:বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে আপেলের কেটে রাখা অংশের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। ফলে বাদামি ছোপ হয়ে যায়।

২৫) পাইন, ইউক্যালিপটাস প্রভৃতি গাছের চারপাশে ঘাস জন্মাতে দেরি হয় কেন?

উত্তর:কারণ এইসব গাছের পাতা পড়ে তার ভিতরের রাসায়নিক পদার্থ মাটিতে মিশে যায়।

২৬) জলে আর্সেনিকের যৌগ থাকলে কি হতে পারে?

উত্তর:হাতে পায়ে কালো ছোপ পড়ে যায়।

২৭) জামাকাপড়ে কোনো দাগ লাগলে সেই দাগ তুলে দেওয়ার একটি পদ্ধতি লেখ।

উত্তর:লেবুর রস দিয়ে সেই দাগ তুলে দেওয়া যায়।

২৮) ঋতু পরিবর্তনের সময় কি কি রোগের সংক্রমণ হতে পারে?

উত্তর: সর্দিকাশি, পেট খারাপ, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া প্রভৃতি।

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.