Class - 6
পরিবেশ ও বিজ্ঞান
প্রথম অধ্যায়
পরিবেশ ও জীবের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
১) লাল পিঁপড়ে কোথায় বাসা বাঁধে?
উত্তর: যেকোনো চওড়া অথবা গোল পাতাওয়ালা গাছের পাতা মুড়ে বাসা তৈরি করে।
২) কোন স্তন্যপায়ী প্রাণী গাছের ডালে ঝুলে থাকে?
উত্তর:বাদুড়।
৩) কাঠের জিনিস পালিশ করতে কি ব্যবহার করা হয়? এটি কোন উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়?
উত্তর:রজন ব্যবহার করা হয়। এটি পাওয়া যায় পাইন বা শালের মতো গাছ থেকে।
৪) খাতা বা বই বাঁধাই করার জন্য কি ব্যবহার করা হয়?
উত্তর:গদের আঠা।
৫) কুইনাইন থেকে কোন রোগের ওষুধ তৈরি হয়?
উত্তর:ম্যালেরিয়া রোগের ওষুধ।
৬) কুইনাইন কোথা থেকে পাওয়া যায়?
উত্তর:সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে।
৭) পরাগমিলন কাকে বলে?
উত্তর:মৌমাছি, প্রজাপতি প্রভৃতি প্রাণী তাদের খাবার ফুল থেকে সংগ্রহ করে। 'সেইসময় তাদের দেহের নানা অংশে লেগে যায় পরাগরেণু। এই প্রাণীরা যখন অন্য কোনো ফুলে গিয়ে বসে, তখন পরাগরেণু ঐ ফুলে এসে পড়ে। এই প্রক্রিয়াকে পরাগমিলন বলে।
৮) ফুলের মধ্যে যে মিষ্টি রস থাকে তাকে কি বলে?
উত্তর:মকরন্দ।
৯) কিসের জন্য গাছের পরাগমিলন জরুরি?
উত্তর:নতুন উদ্ভিদ তৈরির জন্য।
১০) বাদুড় কিভাবে উদ্ভিদের বংশবিস্তারে সাহায্য করে?
উত্তর:বাদুড় ফল খেলেও ফলের বীজ হজম করতে পারে না। ঐ বীজগুলি তার মলের সঙ্গে বেড়িয়ে আসে। এইভাবে মলত্যাগের মাধ্যমে হজম না হওয়া বীজগুলি দূর দূরান্তের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। একসময় এই বীজগুলি থেকে চারাগাছ জন্মায়। এইভাবে বাদুড় উদ্ভিদের বংশবিস্তারে সাহায্য করে।
১১) ধানক্ষেতে কি চাষ করলে জমিতে আর সার দিতে হয় না?
উত্তর:অ্যাজোলা পানা।
১২) অ্যাজোলা কি?
উত্তর:অ্যাজোলা একধরণের পানা। এদের পাতার মধ্যে একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া আছে যারা বাতাসের নাইট্রোজেনকে বেঁধে ফেলতে পারে।
১৩) গাজরের কোন অংশকে আমরা খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করি?
উত্তর:প্রধান মূল।
১৪) মিথোজীবিতা কাকে বলে?
উত্তর:দুই বা ততোধিক জীবের একে অপরকে সাহায্য করে বেঁচে থাকার প্রক্রিয়াকে মিথোজীবিতা বলে। যেমন- পিঁপড়ে ও জাব পোকা একে অপরকে সাহায্য করে বেঁচে থাকে।
১৫) হানিডিউ কি?
উত্তর:জাব পোকার শর্করাসমৃদ্ধ বর্জ্য পদার্থ। এটি পিঁপড়েদের খুবই উপাদেয় খাবার।
১৬) সাগরকুসুম কোন কোন প্রাণীর সঙ্গে মিথোজীবী সম্পর্ক তৈরি করে?
উত্তর:ক্লাউন মাছ ও সন্ন্যাসী কাঁকড়া।
১৭) সন্ন্যাসী কাঁকড়া কোথায় বাসা বাঁধে?
উত্তর:মৃত সামুদ্রিক প্রাণীর খোলসে।
১৮) সাগরকুসুম কিসের সাহায্যে সন্ন্যাসী কাঁকড়াকে রক্ষা করে?
উত্তর:সাগরকুসুম তার বিষাক্ত কোশযুক্ত টেন্ট্যাকলের সাহায্যে সন্ন্যাসী কাঁকড়াকে রক্ষা করে।
১৯) সাগরকুসুম ও সন্ন্যাসী কাঁকড়ার মধ্যে কিভাবে মিথোজীবী সম্পর্ক গড়ে ওঠে?
উত্তর:সন্ন্যাসী কাঁকড়ার পেটের অংশ নরম হওয়ায় সে বাসা বাঁধে মৃত সামুদ্রিক প্রাণীর খোলসে। সন্ন্যাসী কাঁকড়া পিঠে করে বয়ে নিয়ে বেড়ায় সাগরকুসুমকে। সন্ন্যাসী কাঁকড়ার দেহ যখন বাড়ে, সাগরকুসুম খোলসসুদ্ধ সন্ন্যাসী কাঁকড়াকে ঢেকে রাখে। সাগরকুসুম তার বিষাক্ত কোশযুক্ত টেন্ট্যাকলের সাহায্যে সন্ন্যাসী কাঁকড়াকে রক্ষা করে। আবার সন্ন্যাসী কাঁকড়া খাবারের খোঁজে গেলে সাগরকুসুমও সেই খাবারের ভাগ পায়।
২০) পিঁপড়ে এবং জাব পোকার মধ্যে কিভাবে মিথোজীবী সম্পর্ক গড়ে ওঠে?
উত্তর:জাব পোকারা গাছের শর্করাসমৃদ্ধ রস শোষণ করে শর্করাসমৃদ্ধ বর্জ্য ত্যাগ করে। এই বর্জ্যের নাম হানিডিউ। এটি পিঁপড়েদের খুবই উপাদেয় খাবার। এই খাবার পাওয়ার জন্য পিঁপড়েরা জাব পোকাদের লালন পালন করে ও শত্রুর হাত থেকে বাঁচায়। এমনকি জাব পোকাদের খাবার ফুরিয়ে গেলে তাদের এক গাছ থেকে অন্য গাছেও নিয়ে যায়।
২১) সাগরকুসুম ও ক্লাউন মাছের মধ্যে কিভাবে মিথোজীবী সম্পর্ক গড়ে ওঠে?
উত্তর:ক্লাউন মাছ সাগরকুসুমের শত্রু বিশেষ করে বাটারফ্লাই মাছকে তাড়িয়ে দেয়। আবার সাগরকুসুমের খাবারের পড়ে থাকা অংশের ভাগ পায় ক্লাউন মাছ।
২২) গো বক এর সঙ্গে মিথোজীবী সম্পর্ক দেখা যায় একটি প্রাণীর নাম লেখ।
উত্তর:গোরু।
২৩) পরজীবী জীব কাকে বলে?
উত্তর:যে সকল জীব অন্য কোনো জীবের উপর নির্ভর করেই বেঁচে থাকে এবং সেই জীবের ক্ষতিসাধন করে, তাদের পরজীবী জীব বলে।
২৪) পরজীবীতা কাকে বলে?
উত্তর:একটি জীব যদি অন্য কোনো জীবকে আশ্রয় করে বেঁচে থাকে এবং আশ্রয়দাতা জীবের ক্ষতিসাধন করে, তবে সেই প্রক্রিয়াকে পরজীবীতা বলে।
২৫) একটি পরজীবী প্রাণী এবং একটি পরজীবী উদ্ভিদের নাম লেখ।
উত্তর:পরজীবী প্রাণী- উকুন।
পরজীবী উদ্ভিদ- স্বর্ণলতা।
২৬) একটি প্রাণীর নাম লেখ যে কেউটে সাপের খাদ্য হিসাবে ব্যবহার হয়?
উত্তর:ইঁদুর।
২৭) জীবাণুগুলি কোথায় বাসা বাঁধে এবং শরীরে কি লক্ষ্মণ দেখা যায়?
উত্তর:
জীবাণুর নাম:ফিতাকৃমি
কোথায় বাসা বাঁধে:পাকস্থলী, অন্ত্র, পেশি, মস্তিস্ক প্রভৃতি স্থানে
কি লক্ষণ দেখা যায়:খিঁচুনি ও শারীরিক দুর্বলতা
জীবাণুর নাম: আমাশয়ের জীবাণু
কোথায় বাসা বাঁধে: অস্ত্রে
কি লক্ষণ দেখা যায়:শরীরে জলের ঘাটতি ও বারবার মলত্যাগ
জীবাণুর নাম:ম্যালেরিয়ার জীবাণু
কোথায় বাসা বাঁধে:যকৃৎ ও লোহিত রক্তকণিকায়
কি লক্ষণ দেখা যায়:জ্বর, রক্তাল্পতা ও শারীরিক দুর্বলতা
জীবাণুর নাম:যক্ষ্মার জীবাণু
কোথায় বাসা বাঁধে:ফুসফুস, হাড় সহ শরীরের নানা অঙ্গে
কি লক্ষণ দেখা যায়:জ্বর, কাশি, দেহের ওজন কমে যাওয়া প্রভৃতি
২৮) সিল্ক কোথা থেকে পাওয়া যায়?
উত্তর:রেশম মথ থেকে।
২৯) চটের থলি তৈরিতে কোন গাছের তন্তু ব্যবহার করা হয়?
উত্তর:পাট গাছের তন্তু।
৩০) লিভার ওয়েল কি?
উত্তর:কড, হাঙরের মতো কিছু সামুদ্রিক মাছের লিভার অর্থাৎ যকৃৎ নিঃসৃত তেল।
৩১) কড, হাঙর প্রভৃতি সামুদ্রিক মাছের যকৃতে কোন ভিটামিন পাওয়া যায়?
উত্তর:ভিটামিন A এবং ভিটামিন D
৩২) কোন দুটি ভিটামিন আমাদের দাঁত ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে?
উত্তর:ভিটামিন A এবং ভিটামিন D
৩৩) কোন ভিটামিন আমাদের চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে?
উত্তর:ভিটামিন A
৩৪) কয়েকটি প্রাণীর নাম লেখ যারা পরিবেশ দূষণ কমাতে সাহায্য করে?
উত্তর:কাক, শকুন, শুয়োর প্রভৃতি।
৩৫) কয়েকটি প্রাণীর নাম লেখ যারা পরিবহনের কাজে সাহায্য করে?
উত্তর:গোরু, ঘোড়া প্রভৃতি।
৩৬) কয়েকটি প্রাণীর নাম লেখ যারা চাষের কাজে সাহায্য করে?
উত্তর:গোরু, বলদ প্রভৃতি।
৩৭) খাদ্যের জন্য মানুষ কোন কোন প্রাণীর উপর নির্ভরশীল?
উত্তর:মৌমাছি, হাঁস, মুরগি, গোরু প্রভৃতি প্রাণীর উপর।
৩৮) দইয়ের সাজা কি?
উত্তর:আগে থেকে পেতে রাখা দইয়ের কিছু অংশ।
৩৯) দইয়ের সাজায় কি প্রকার অণুজীব বা ব্যাকটেরিয়া দেখা যায়?
উত্তর:ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া।
৪০) কোন অ্যাসিড দুধকে দইয়ে পরিণত করতে সাহায্য করে?
উত্তর:ল্যাকটিক অ্যাসিড।
৪১) দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করে কোন ব্যাকটেরিয়া?
উত্তর:ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া।
৪২) পাউরুটি তৈরি করতে যে এককোশী ছত্রাক লাগে তার নাম কি?
উত্তর:ইস্ট।
৪৩) কার্বন ডাই অক্সাইড কিভাবে পাউরুটি তৈরিতে সাহায্য করে?
উত্তর:ময়দা বা আটার মিশ্রণকে ফুলে ফেঁপে উঠতে সাহায্য করে।
৪৪) পাউরুটির গা ফুটো ফুটো হয়ে যায় কেন?
উত্তর:ময়দা বা আটার মিশ্রণ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়িয়ে যাওয়ার জন্য।
৪৫) একটি ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখ যার থেকে জীবাণুদের মেরে ফেলার ওষুধ তৈরি হয়?
উত্তর:স্ট্রেপ্টোমাইসেস।
৪৬) স্ট্রেপ্টোমাইসেস থেকে পাওয়া যায় দুটি ওষুধের নাম লেখ।
উত্তর:স্ট্রেপ্টোমাইসিন, এরিথ্রোমাইসিন।
