ষষ্ঠ শ্রেণী পরিবেশ ও বিজ্ঞান
অষ্টম অধ্যায় - মানুষের শরীর
class 6 Poribesh chapter 8 question answer
মানুষের শরীর — এক জটিল অথচ বিস্ময়কর যন্ত্র। প্রতিদিন আমরা শরীরের নানা কাজ দেখে অভ্যস্ত হলেও, এই কাজগুলো কীভাবে ঘটে, তা কি আমরা জানি? ষষ্ঠ শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের অষ্টম অধ্যায়: “মানুষের শরীর” আমাদের নিয়ে যায় এই রহস্যময় জগতের ভেতরে। এই ব্লগে আমরা তুলে ধরেছি অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত ও বোধগম্য উত্তর — যা শিক্ষার্থীদের সহজে বুঝতে সাহায্য করবে, পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও দেবে বাড়তি আত্মবিশ্বাস।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক শরীরের ভেতরের গল্পগুলো — রক্ত, হৃৎপিণ্ড, হজম ও নিঃসরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সহজ ভাষায়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
১) বুকের মাঝখানে অবস্থিত শক্ত হাড়কে কি বলা হয়?
উত্তর:বক্ষাস্থি।
২) পিঠের মাঝ বরাবর অবস্থিত শক্ত হাড়কে কি বলে?
উত্তর:শিরদাঁড়া।
৩) হৃৎপিণ্ড কোথায় থাকে?
উত্তর:হৃৎপিণ্ড থাকে মূলত বুকের মাঝে থাকা বক্ষাস্থি এবং শিরদাঁড়ার মাঝের অংশে।
৪) ধমনি কাকে বলে?
উত্তর:যে নলগুলি দিয়ে রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে পৌঁছায়, তাকে ধমনি বলে।
৫) শিরা কাকে বলে?
উত্তর:যে নলগুলি দিয়ে রক্ত সারা দেহ থেকে হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে, তাকে শিরা বলে।
৬) শিরা ও ধমনির মাঝে কি থাকে?
উত্তর:রক্তজালক।
৭) শিরা ও ধমনির পার্থক্য লেখ।
শিরা | ধমনি |
---|---|
১)শিরার মাধ্যমে রক্ত সারা দেহ থেকে হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে। | ১)ধমনির মাধ্যমে রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে পৌঁছায়। |
২)শিরা দিয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত প্রবাহিত হয়। |
২)ধমনি দিয়ে অক্সিজেন যুক্ত রক্ত প্রবাহিত হয়। |
৩)রক্তের প্রবাহের গতি তুলনামূলকভাবে ধীর। | ৩)রক্তের প্রবাহের গতি তুলনামূলকভাবে দ্রুত। |
৮) হৃৎস্পন্দন কাকে বলে?
উত্তর:হৃৎপিণ্ডের একবার সংকোচন এবং একবার প্রসারণকে হৃৎস্পন্দন বলে।
৯) সিস্টোল ও ডায়াস্টোল কি?
উত্তর:হৃৎপিণ্ডের সংকোচনকে সিস্টোল এবং প্রসারণকে ডায়াস্টোল বলে।
১০) মানুষের স্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন কত?
উত্তর: মিনিটে 72 থেকে 80 বার।
১১) হৃৎস্পন্দন কত তা কীভাবে বোঝা যায়?
উত্তর:নাড়ি টিপে নাড়ির গতি মিনিটে কতবার হচ্ছে তা থেকে বোঝা যায়।
১২) হাতের কবজিতে নাড়ির গতি সবচেয়ে স্পষ্ট কেন?
উত্তর:কারণ হাতের কবজিতে পাতলা চামড়ার মধ্যে দিয়ে খুব সহজেই রক্তবাহের মধ্যে রক্ত চলাচল অনুভব করা যায়।
১৩) হার্ট ব্লক কাকে বলে?
উত্তর:অত্যাধিক তেল, ঘি বা চর্বিজাতীয় খাবার খেলে অথবা ধূমপান, মদ্যপান করলে কোলেস্টেরল নামক একটি পদার্থ হৃৎপেশী ও রক্তবাহতে জমে রক্তের চলাচল ব্যহত করে। একে হার্ট ব্লক বলে।
১৪) কাদের দেহে পেসমেকার বসানো দরকার?
উত্তর:যাদের হৃদযন্ত্রের সংকোচন মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায় তাদের দেহে পেসমেকার বসানো দরকার।
১৫) মানুষের হৃৎপিণ্ডে কয়টি প্রকোষ্ঠ আছে?
উত্তর:চারটি প্রকোষ্ঠ। বাম অলিন্দ, ডান অলিন্দ, বাম নিলয় ও ডান নিলয়।
১৬) হৃৎপিণ্ডের কোন প্রকোষ্ঠের প্রাচীর সবচেয়ে বেশি পেশিবহুল?
উত্তর:বাম নিলয়।
১৭) হৃৎপিণ্ডের বাইরের আবরণটির নাম কি?
উত্তর:পেরিকার্ডিয়াম।
১৮) বাম অলিন্দ ও বাম নিলয়ের মাঝে কোন কপাটিকা থাকে?
উত্তর:দ্বিপত্রক কপাটিকা।
১৯) ডান অলিন্দ ও ডান নিলয়ের মাঝে কোন কপাটিকা থাকে?
উত্তর:ত্রিপত্রক কপাটিকা।
২০) ফুসফুসীয় শিরা কি প্রকার রক্ত বহন করে?
উত্তর:অক্সিজেন যুক্ত রক্ত।
২১) ফুসফুসীয় ধমনি কি প্রকার রক্ত বহন করে?
উত্তর:কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত।
২২) ফুসফুসীয় শিরা কোথায় থাকে? এর কাজ কি?
উত্তর:ফুসফুস থেকে বাম অলিন্দের সঙ্গে যুক্ত থাকে ফুসফুসীয় শিরা। এটি ফুসফুস থেকে বিশুদ্ধ বা অক্সিজেনযুক্ত রক্ত বাম অলিন্দে পৌঁছে দেয়।
২৩) ফুসফুসীয় ধমনি কোথায় থাকে?
উত্তর:ফুসফুস থেকে ডান নিলয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে ফুসফুসীয় ধমনি।
২৪) আমাদের শরীরের উপরের অংশ থেকে অবিশুদ্ধ রক্ত কিসের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে প্রবেশ করে?
উত্তর:উর্ধ্ব মহাশিরা।
২৫) আমাদের শরীরের নিচের অংশ থেকে অবিশুদ্ধ রক্ত কিসের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে প্রবেশ করে?
উত্তর:নিম্ন মহাশিরা।
২৬) হৃৎপিণ্ডের কয়েকটি অসুখের নাম লেখ।
উত্তর:•হৃৎপিণ্ড ফুটো হওয়া।
•হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণ মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যাওয়া।
•হৃৎপিণ্ডের দেওয়ালের পেশিগুলিতে রক্ত চলাচল কমে যাওয়া।
২৭) পিচুটি কোথায় দেখা যায়?
উত্তর:চোখে দেখা যায়।
২৮) রক্তের কোন কোন অংশ জীবাণুকে মেরে ফেলে?
উত্তর:রক্তরস, শ্বেত রক্তকণিকা।
২৯) রক্তরস বা প্লাজমা কাকে বলে?
উত্তর:রক্তের বেশিরভাগ অংশই জলীয়। রক্তের এই জলীয় অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে। এর মধ্যে রক্তকণিকাগুলি ভাসমান অবস্থায় থাকে।
৩০) রক্তরস বা প্লাজমার কাজ কি?
উত্তর:পরিপাকের ফলে উৎপন্ন খাদ্যের সরল ও তরল অংশ প্লাজমার দ্বারাই দেহের বিভিন্ন কলাকোশে পৌঁছায়।
দেহে উৎপন্ন বিভিন্ন রেচন বস্তু প্লাজমার দ্বারাই দেহ থেকে অপসারিত হয়।
এছাড়া প্লাজমা দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
৩১) রক্তে রক্তরসের পরিমাণ কত?
উত্তর:55 শতাংশ।
৩২) ফুসফুস থেকে অক্সিজেনকে সারা দেহে পৌঁছে দেয় কে?
উত্তর:লোহিত রক্তকণিকা।
৩৩) টিকা বা ভ্যাকসিন কি?
উত্তর:টিকা বা ভ্যাকসিন দিয়ে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আগে থেকেই উজ্জীবিত ও সক্রিয় করে তোলা হয় যাতে শরীরে বিভিন্ন রোগের জীবাণু ঢুকলে শরীর তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
৩৪) লোহিত রক্তকণিকার কাজ কি?
উত্তর:ফুসফুস থেকে অক্সিজেনকে শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দেওয়া।
৩৫) শ্বেত রক্তকণিকার কাজ কি?
উত্তর:জীবাণু ধ্বংস করা।
৩৬) অণুচক্রিকার কাজ লেখ।
উত্তর:শরীরে কোথাও কেটে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
৩৭) লালা ও পাকস্থলীতে অবস্থিত জীবাণু ধ্বংসকারী রাসায়নিক পদার্থগুলির নাম লেখ।
উত্তর:লালা- লাইসোজাইম।
পাকস্থলীতে- হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড।
৩৮) কোন পথে জীবাণুরা পেটের মধ্যে যায় তা সাজিয়ে লেখ।
উত্তর:মুখগহ্বর > গ্রাসনালি >পাকস্থলী
৩৯) রোগ প্রতিরোধকারী সকল উপাদান মূলত কি দিয়ে তৈরি?
উত্তর:প্রোটিন দিয়ে।
৪০) মানুষের শ্বাসনালী দুভাগে ভাগ হয়ে কি তৈরি হয়?
উত্তর:ক্লোমশাখা।
৪১) ফুসফুসের রং কেমন?
উত্তর:কালচে গোলাপি।
৪২) এক একটি ফুসফুসে কত বায়ুথলি থাকে?
উত্তর:প্রায় দশ কোটি।
৪৩) ফুসফুসের বায়ুথলিগুলিকে কি বলে?
উত্তর:অ্যালভিওলাই।
৪৪) বাম ফুসফুস এবং ডান ফুসফুসে কয়টি খণ্ড আছে?
উত্তর:বাম ফুসফুসে দুটি খণ্ড এবং ডান ফুসফুসে তিনটি খণ্ড আছে।
৪৫) ফুসফুসের কাজ লেখ।
উত্তর:বাইরে থেকে বাতাস টেনে শরীরের মধ্যে নেওয়া। সেই টেনে নেওয়া বাতাস থেকে অক্সিজেনকে রক্তে পৌঁছে দেওয়া এবং শরীরে তৈরি হওয়া কার্বন ডাই অক্সাইড রক্ত থেকে টেনে নিয়ে বাতাসের সঙ্গে শরীরের বাইরে বের করে দেওয়া।
৪৬) প্রশ্বাস ও নিঃশ্বাস কাকে বলে?
উত্তর:ফুসফুসের সাহায্যে বাইরের বাতাসকে শরীরে টেনে নেওয়াকে প্রশ্বাস এবং শরীরের ভিতরের বাতাসকে বাইরে বের করে দেওয়াকে নিঃশ্বাস বলে।
৪৭) নিঃশ্বাস ও প্রশ্বাসে সাহায্যকারী দুটি পেশির নাম লেখ।
উত্তর:ইন্টারকস্টাল বা পঞ্জর পেশি এবং মধ্যচ্ছদা।
৪৮) পঞ্জর পেশি কাকে বলে?
উত্তর:আমাদের পাঁজরের ফাঁকে যে পেশিগুলি আছে, তাকে বলে পঞ্জর পেশি।
৪৯) মধ্যচ্ছদা কাকে বলে?
উত্তর:বুক এবং পেটের মাঝখানে শরীরের ভিতরে যে পেশি থাকে, তাকে মধ্যচ্ছদা বলে।
৫০) ফুসফুসের সমস্যাগুলি লেখ।
উত্তর:হাঁপানি- শ্বাস প্রক্রিয়ায় কষ্ট হয়। শ্বাসকার্যের সময় সাঁ সাঁ শব্দ হয়।
যক্ষ্মা- শরীরের উষ্ণতা বৃদ্ধি, দীর্ঘস্থায়ী কাশি ও সঙ্গে রক্ত পড়া ও বুকে ব্যাথা হয়।
ফুসফুসের ক্যানসার- কাশির সঙ্গে কফ ও রক্ত পড়ে। ফুসফুসের সংক্রমণের ফলে জ্বর হয়।
৫১) হাড় বা অস্থি আমাদের দেহে গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর:দেহের কাঠামো গঠন করে।
দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে রক্ষা করে।
সমস্ত দৈহিক কাজকর্মে ও নড়াচড়া করতে সাহায্য করে।
৫২) কয়েকটি প্রাণীর নাম লেখ যাদের শরীরে কোনো হাড় বা অস্থি নেই?
উত্তর:চিংড়ি, আরশোলা, শামুক, কৃমি প্রভৃতি।
৫৩) জন্মের সময় একটি শিশুর কয়টি হাড় থাকে?
উত্তর:প্রায় 300 টি।
৫৪) কোন হাড়গুলি দেহের ঠিক মাঝখানে থাকে?
উত্তর:করোটি, মেরুদণ্ড, বুকের পাঁজরের অস্থি।
৫৫) লিগামেন্ট কি?
উত্তর:মানবশরীরের অস্থিগুলি একে অন্যের সঙ্গে অস্থিসন্ধিতে যে সুতো বা দড়ির মতো জিনিস দিয়ে বাঁধা থাকে, তাকে লিগামেন্ট বলে।
৫৬) অস্থিসন্ধি কাকে বলে?
উত্তর:দুটি পাশাপাশি অস্থি যেখানে একে অপরের সঙ্গে লিগামেন্ট দিয়ে বাঁধা থাকে, সেই জায়গাটাকে বলে অস্থিসন্ধি বা হাড়ের জোড়।
৫৭) একটি অচল অস্থিসন্ধির উদাহরণ দাও?
উত্তর:মাথার খুলি।
৫৮) একটি সচল অস্থিসন্ধির নাম লেখ।
উত্তর:হাতের তালু, হাঁটুর অস্থি।
৫৯) আমাদের মস্তিস্ক থেকে যে নির্দেশ আসে তা কীভাবে মাংসপেশিতে পৌঁছায়?
উত্তর:স্নায়ুপথ দিয়ে।
৬০) বল এবং সকেট সন্ধি কোথায় দেখা যায়?
উত্তর:কাঁধে ও কোমরে।
৬১) হিঞ্জ সন্ধি কোথায় থাকে?
উত্তর:হাঁটু ও কনুইতে।
৬২) হাঁটুর নীচে অবস্থিত দুটি লম্বা অস্থিকে কি বলে?
উত্তর:টিবিয়া ও ফিবিউলা।
৬৩) কিসের সাহায্যে আমরা খুব সহজেই মাথা ঘুরিয়ে এদিক ওদিক দেখতে পারি?
উত্তর:পিভট অস্থিসন্ধির সাহায্যে।
৬৪) পিভট অস্থিসন্ধি কাকে বলে?
উত্তর:যে অস্থিসন্ধিতে একটি অস্থির গোলাকার অংশ অপর অস্থির বর্ধিত অংশকে এমনভাবে বেষ্টন করে থাকে যে, প্রথম অস্থিটি দ্বিতীয় অস্থির চারদিকে আবর্তিত হতে পারে, একে পিভট অস্থিসন্ধি বলে। যেমন- মেরুদণ্ডের প্রথম কশেরুকা বা অ্যাটলাস দ্বিতীয় কশেরুকার উপর আবর্তিত হয়।
৬৫) কোন সন্ধির সাহায্যে আমরা হাতের বুড়ো আঙুলকে এদিক ওদিক ঘোরাতে পারি?
উত্তর:স্যাডল সন্ধি।
৬৬) পেশির সঙ্গে হাড়কে যুক্ত করে কে?
উত্তর:টেনডন।
৬৭) কোন অংশের পেশিকে কি বলা হয়?
উত্তর:হাতের পেশি- কঙ্কাল পেশি।
পাকস্থলীর পেশি- আন্তরযন্ত্রীয় পেশি।
হৃৎপিণ্ডের পেশি- হৃৎপেশী।
৬৮) একটি ঐচ্ছিক পেশির উদাহরণ দাও।
উত্তর:হাতের পেশি।
৬৯) একটি অনৈচ্ছিক পেশির উদাহরণ দাও।
উত্তর:পাকস্থলীর পেশি।
৭০) মানুষের দৈত্যাকার গঠন এবং বামনত্বকে কি বলে?
উত্তর:দৈত্যাকার গঠন- জাইগ্যান্টিজম।
বামনত্ব- ডোয়ারফিজম।
৭১) দেহভর সুচক কাকে বলে?
উত্তর:যে সূচকের দ্বারা কোনো ব্যক্তির দেহের ভর এবং উচ্চতার সাহায্যে দেহের স্থূলতার মান নির্ণয় করা হয়, তাকে দেহভর সুচক বলে।
অর্থাৎ, দেহভর সুচক = ওজন / (উচ্চতা)²
৭২) স্বাভাবিক ওজন বিশিষ্ট ব্যক্তির দেহভরসুচক কত?
উত্তর:18.5 থেকে 25 এর মধ্যে।