Class - 7
ইতিহাস
প্রথম অধ্যায়– ইতিহাসের ধারণা
সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস বইয়ের প্রথম অধ্যায় - ইতিহাসের ধারণা থেকে প্রশ্ন উত্তর আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর। এর মধ্যে থেকে পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। গত সাত বছরের সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্নপত্র পর্যবেক্ষণ করে লেখা প্রশ্ন উত্তর।West Bengal Board Class 7 History lesson 1 important questions answers suggestions.ক্লাস 7 ইতিহাস প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর সাজেশন 2024
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা
১) ইতিহাস কি?
উত্তর:ইতিহাস হল অতীতের মানব সমাজ ও মানব সভ্যতার ধারাবাহিক কাহিনী।
২) ইতিহাসের উপাদান কাকে বলে?
উত্তর:পুরানো দিনের যেসব জিনিস আজও রয়ে গেছে সেগুলিই আমাদের ইতিহাসের কথা জানতে সাহায্য করে। পুরানো ঘরবাড়ি, মন্দির, মসজিদ, মূর্তি, টাকাপয়সা, আঁকা ছবি, বইপত্র প্রভৃতি থেকে এক একটা সময়ের মানুষের কথা আমরা জানতে পারি। তাই সেগুলিকেই বলা হয় ইতিহাসের উপাদান।
৩) ইতিহাসের উপাদানগুলি কি কি?
উত্তর:ইতিহাসের উপাদানগুলি হল লেখ, মুদ্রা, স্থাপত্য, ভাস্কর্য ও লিখিত উপাদান।
৪) ইতিহাসের উপাদানগুলিকে নানাভাগে ভাগ করা হয় কেন?
উত্তর:ইতিহাসের সব উপাদান একরকম নয়। একটি পুরোনো মূর্তি, পুরোনো মুদ্রা বা পুরোনো বই এক জিনিস নয়। তাই ইতিহাসের উপাদানগুলিকে নানাভাগে ভাগ করা হয়।
৫) লেখ কি?
উত্তর:পাথর বা ধাতুর পাতের বিভিন্ন লেখা থেকে পুরোনো দিনের অনেক কথা জানা যায়। এগুলিকেই বলা হয় লেখ।
৬) তাম্রলেখ ও শিলালেখ কি?
উত্তর:তামার পাতের উপর লেখা হলে তাকে বলে তাম্রলেখ এবং পাথরের উপর লেখা হলে তাকে বলে শিলেলেখ।
৭) ঐতিহাসিক কীভাবে টুকরো উপাদান দিয়ে ইতিহাসের ফাঁক পূরণ করতে পারেন?
উত্তর:পুরোনো ঘরবাড়ি, মন্দির, মসজিদ, মূর্তি, টাকাপয়সা, আঁকা ছবি, বইপত্র প্রভৃতি থেকে বিভিন্ন সময়ের মানুষের বিষয়ে আমরা জানতে পারি। কিন্তু এইসকল বিষয় ইতিহাসের নানা উপাদানের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যেখানে উপাদান পাওয়া যায় না, সেখানে অনেক ফাঁক থেকে যায়। ঐতিহাসিকরা অন্যান্য উপাদান এবং নিজেদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এই ফাঁক ভরাট করতে পারেন।
৮) ইতিহাসে সাধারণ মানুষ বা শিল্পীদের নাম খুব বেশি পাওয়া যায় না কেন?
উত্তর:ইতিহাসে সাধারণ মানুষ বা শিল্পীদের নাম থাকে না। বেশিরভাগ জায়গা জুড়েই থাকে শাসকদের নাম এবং গুণগান। কারণ সাধারণ মানুষ চিরদিনই অবহেলিত থেকেছে। সেটা শাসকের দৃষ্টিতেই হোক বা লেখকের লেখনীতে। আসলে সমকালীন লেখকেরা রাজার কৃপা বা করুণা লাভের আশায় নিজেদের লেখায় রাজার প্রশস্তি বা গুণকীর্তন করতেন।
৯) 'ইন্ডিয়া' নামটি কে কবে প্রথম ব্যবহার করেছিলেন?
উত্তর:খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ-পঞ্চম শতকে গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস।
১০) হিদুষ কি?
উত্তর: উত্তর পশ্চিম ভারতের সিন্ধু নদীর ব-দ্বীপ অঞ্চল বেশ কিছুদিনের জন্য পারসিক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। তখন এই অঞ্চলকে বলা হত হিদুষ।
১১) কোন গ্রন্থে 'হিন্দুস্তান' শব্দটি দ্বারা সমগ্র ভারতকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:হুদুদ অল আলম গ্রন্থে।
১২) কাদের হাত ধরে এদেশে আলু খাওয়ার চল শুরু হয়?
উত্তর:পোর্তুগিজদের হাত ধরে।
১৩) সুলতানি আমলে বিদেশি বলতে কাদের বোঝানো হত?
উত্তর:গ্রাম বা শহরের বাইরে থেকে আসা লোকেদের।
১৪) ইতিহাসের গোয়েন্দা কাদের বলা হয়?
উত্তর:ঐতিহাসিকদের।
১৫) ইতিহাসকে সাধারণত কয়টি যুগে ভাগ করা হয়েছে ও কি কি?
উত্তর: তিনটি যুগে। প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক যুগ।
১৬) আদি মধ্যযুগ কাকে বলে?
উত্তর:ইতিহাসের যে সময়কালে প্রাচীন যুগ ধীরে ধীরে সেস হয়ে আসছে, কিন্তু মধ্যযুগ পুরোপুরি শুরু হয়নি, সেই সময়কালকে ঐতিহাসিকরা আদি মধ্যযুগ বলেছেন।
১৭) মধ্যযুগের ভারত কেমন ছিল?
উত্তর:বিভিন্ন ঐতিহাসিকদের লেখা মধ্যযুগের ইতিহাস থেকে জানা যায়, সেই সময় জীবনের নানা দিক থেকে উন্নতি করেছিল ভারতের মানুষ।
একদিকে ছিল নানান নতুন যন্ত্র ও কৌশলের ব্যবহার। কুয়ো থেকে জল তোলা, তাঁত বোনা বা যুদ্ধের অস্ত্র- বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় বদলে গিয়েছিল অনেক কিছুই। অনেক নতুন খাবার ও পানীয়ের কথা এই সময় জানতে পারে ভারতের মানুষ। সেইসময় পোর্তুগীজদের হাত ধরে এই দেশে আলু খাওয়ার চল শুরু হয়।
দেশ শাসন ও রাজনীতিতেও অনেক নতুন দিক দেখা গিয়েছিল। শুধু রাজ্য বিস্তার নয়, জনগনের ভালো মন্দের কথাও শাসকদের ভাবতে হয়েছিল। অর্থনীতিতে একদিকে ছিল কৃষি, অপরদিকে ছিল ব্যবসা বাণিজ্য। তৈরি হয়েছিল নতুন শহর।
ধর্মের ক্ষেত্রেও আচার বা আড়ম্বর নয়, ভক্তি দিয়েই ভগবানকে পাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সাধারণ মানুষের মুখের ভাষাই হয়ে উঠেছিল ধর্ম প্রচারের মাধ্যম। তবে শিল্প, স্থাপত্যে সাধারণ মানুষের কথা খুব বেশি ছিল না। বেশিরভাগ ছিল শাসকদের গুণগানে ভরা।
১৮) টীকা লেখ। ইতিহাসের উপাদান।
উত্তর:পুরানো দিনের যেসব জিনিস আজও রয়ে গেছে সেগুলিই আমাদের ইতিহাসের কথা জানতে সাহায্য করে। পুরানো ঘরবাড়ি, মন্দির, মসজিদ, মূর্তি, টাকাপয়সা, আঁকা ছবি, বইপত্র প্রভৃতি থেকে এক একটা সময়ের মানুষের কথা আমরা জানতে পারি। তাই সেগুলিকেই বলা হয় ইতিহাসের উপাদান।
ইতিহাসের সব উপাদান একরকম নয়। একটি পুরোনো মূর্তি, পুরোনো মুদ্রা বা পুরোনো বই এক জিনিস নয়। তাই ইতিহাসের উপাদানগুলিকে নানাভাগে ভাগ করা হয়।
ইতিহাসের উপাদানগুলি হল লেখ, মুদ্রা, স্থাপত্য, ভাস্কর্য ও লিখিত উপাদান। পাথর বা ধাতুর পাতে লেখা থেকে পুরানো দিনের অনেক কথা জানা যায়। সেগুলিকে বলে লেখ। তামার পাতে লেখা হলে তা হয় তাম্রলেখ। পাথরে লেখা হলে তা হয় শিলালেখ। আর কাগজে লেখাগুলিকে বলা হয় লিখিত উপাদান।