পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ
ষষ্ঠ অধ্যায় পরিবেশ ও বনভূমি
Class 5 poribesh chapter 6 question answer suggestion
Hello, young environmentalists and curious minds! Are you ready to embark on an exciting journey through the lush green world of "Poribesh O Bonbhumi" – the sixth chapter of your Class 5 Environmental Studies textbook? We all love playing outdoors, breathing fresh air, and marveling at the beauty of nature, but do we truly understand the intricate web of life that surrounds us? This chapter isn't just about memorizing facts; it's about opening your eyes to the incredible importance of our environment and the majestic forests that are its lungs.
In this blog post, we're not just going to give you answers; we're going to explore the whys and hows, making sure every concept clicks into place. So, grab your thinking caps, and let's dive deep into understanding our precious environment and the magnificent role of forests. Get ready to not just ace your exams, but to become a true friend of nature!
বনে থাকে বাঘ
১) বনে থাকে এমন কয়েকটি প্রাণীর নাম লেখো।
বাঘ, চিতাবাঘ, হাতি, শেয়াল, খরগোশ, কালো ভাল্লুক, লাল পাণ্ডা, বুনো শুয়োর, হরিণ, মেছো বিড়াল, বনবিড়াল, কাঠবিড়ালি প্রভৃতি প্রাণী। এছাড়াও কিছু কিছু বন সংলগ্ন নদী বা জলাভূমিতে কুমির ও কামটও দেখা যায়।
২) বন থেকে পাওয়া যায় এমন কয়েকটি উদ্ভিদের নাম লেখো।
শাল, সেগুন, পলাশ, রডোডেনড্রন, ইউক্যালিপটাস, রাধাচূড়া, ফার, ওক প্রভৃতি গাছ। কোথাও আবার দেখা যায় সুন্দরী, গরান, হেতাল গাছ। এছাড়াও দেখা যায় চাঁপ, চিলোনি, লালি প্রভৃতি গাছ।
৩) বন থেকে কোন প্রাণী বেরিয়ে এসে মানুষের ঘরবাড়ি, ফসল প্রভৃতি নষ্ট করে দেয়?
হাতি।
৪) বনে কোন কোন পতঙ্গ দেখা যায়?
প্রজাপতি, মৌমাছি প্রভৃতি।
৫) পাইন, রডোডেনড্রন প্রভৃতি গাছ কোন অঞ্চলের বনে দেখা যায়?
পার্বত্য অঞ্চল বা পাহাড়ি অঞ্চলের বনে।
বন থেকে কি কি পাই
১) বন থেকে আমরা কি কি পাই?
বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন, আসবাবপত্র তৈরির কাঠ, জ্বালানির কাঠ, মশলা, মধু, মোম, কাগজ, রবার, দড়ি, বিভিন্ন প্রকার ভেষজ ওষুধ প্রভৃতি।
২) ওষুধ তৈরি হয় এমন কয়েকটি গাছের নাম লেখো।
সিঙ্কোনা, সর্পগন্ধা, বাসক, কালমেঘ প্রভৃতি।
৩) দুটি লম্বা গাছের নাম লেখো।
তাল, নারকেল প্রভৃতি।
৪) দুটি গাছের নাম লেখো যারা চারদিকে ছড়িয়ে বিরাট আকৃতি ধারণ করে?
বট, অশ্বত্থ।
৫) দুটি নরম কাণ্ডের গাছের নাম লেখো।
কলা, পেঁপে।
৬) কয়েকটি লতানো গাছের নাম লেখো
শাঁকালু, কুমড়ো, শিম প্রভৃতি।
৭) গাছের ছাল থেকে কি কি জিনিস তৈরি হয়?
মশলা, ওষুধ, দড়ি তৈরির আঁশ প্রভৃতি।
৮) গাছের কোন অংশ দিয়ে থালা, বাটি তৈরি করা হয়?
পাতা দিয়ে।
৯) দড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা যায় এমন দুটি গাছের নাম লেখো।
নারকেল, পাট।
১০) দুটি গাছের নাম লেখো যা থেকে আসবাবপত্রের কাঠ পাওয়া যায়?
শাল, সেগুন।
হারিয়ে যাওয়া বন আর নতুন বন
১) আগেকার দিনে কোন বন রাজার দখলে থাকত?
যেসব বনে হাতি থাকত সেইসব বন রাজারা নিজের দখলে রাখত।
২) হাতি বনগুলিকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হত কেন?
আগেকার দিনে যে সকল বনে হাতি থাকত সেগুলির উপর রাজার দখল থাকত। হাতিগুলিকে রাজার সেনাবাহিনীতে কাজে লাগানো হত। হাতিকে যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করা হত। তাই হাতিবনগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হত।
৩) আগেকার দিনে ভারতের রাজারা বনের উপর কড়া নজর রাখত কেন?
অনেককাল আগে ভারতের রাজারা বনের উপর কড়া নজর রাখত। কারণ বন থেকে অনেক মূল্যবান কাঠ পাওয়া যেত। এছাড়া বনে অনেক হাতি ছিল যা রাজাদের সেনাবাহিনী ও যুদ্ধ পরিচালনার কাজে ব্যবহার হত।
৪) বন্যপশুরা লোকালয়ে চলে আসছে কেন?
বনের গাছপালা কাটার ফলে বনভূমির পরিমাণ ক্রমশ কমে যাচ্ছে। বন্য পশুদের খাদ্য ও বাসস্থানের অভাব দেখা দিচ্ছে। তাই বন্য পশুরা লোকালয়ে চলে আসছে।
৫) বন্যপ্রাণীরা কখন আক্রমণ করে?
বনভূমিতে খাদ্যের অভাব ঘটলে বন্য পশুরা আক্রমণ করে। এছাড়া তারা নিজেরা আক্রান্ত হলেও আত্মরক্ষার জন্য আক্রমণ করে।
৬) অরণ্য সপ্তাহ কেন পালন করা উচিৎ?
অরণ্য সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে জনগণকে গাছপালার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করে তোলা যায়।
এছাড়া সারা সপ্তাহ ধরে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আমাদের পরিবেশকে অনেকটা দূষণমুক্ত রাখা সম্ভব হবে।
৭) বর্তমানে বনসৃজনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে কেন?
অথবা
বন হারিয়ে যাওয়ার কারণ লেখো।
• ঘরবাড়ি, কলকারখানা, রাস্তাঘাট প্রভৃতি নির্মাণের জন্য বনভূমি ধ্বংস করা হচ্ছে।
• মানুষের চাষবাসের জন্য প্রয়োজনীয় জমি তৈরি করার ফলে বন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে।
• মানুষ প্রয়োজনীয় কাঠ সংগ্রহের জন্য নির্বিচারে গাছ কাটে। এর ফলেও বনভূমি নষ্ট হচ্ছে।
৮) বনভূমি কমে গেলে কি কি অসুবিধা দেখা দেবে?
বনভূমির পরিমাণ কমে গেলে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাবে, মাটির ক্ষয় হবে, বৃষ্টিপাত কমে যাবে, বাতাসে ধুলো ও ধোঁয়ার পরিমাণ বেড়ে যাবে। পশুপাখিরা তাদের বাসভূমি হারাবে। এছাড়াও বনের পশুরা লোকালয়ে ঢুকে সেখানকার ক্ষতি করবে।
৯) বন পরিবেশের ভারসাম্য কীভাবে বজায় রাখে?
• বনভূমির গাছপালা পরিবেশ থেকে দূষিত কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং পরিবেশে অক্সিজেন ত্যাগ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।
• এছাড়াও বৃষ্টিপাত নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বনভূমি পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে।
১০) বনভূমি কীভাবে রক্ষা করা যায়?
• প্রয়োজনের অতিরিক্ত গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে।
• নতুন নতুন চারাগাছ রোপণ করতে হবে।
১১) সমাজভিত্তিক বন কাকে বলে?
কোনো অঞ্চলে পতিত ও অনুর্বর জমিতে যখন সামাজিক কল্যাণের উদ্দেশ্যে গাছ লাগানো হয়, তখন তাকে সমাজভিত্তিক বন বলে।
১২) বিশ্ব পরিবেশ দিবস কবে পালিত হয়?
৫ জুন।
বেড়াতে গিয়ে বন দেখা
১) বিশালাক্ষীর আমবাগানে কতগুলি আমগাছ আছে?
প্রায় 2 হাজার আমগাছ আছে।
২) বিশালাক্ষী আমবাগানের গাছগুলি কত বছরের পুরানো?
প্রায় তিন চারশো বছরের পুরানো।
৩) আমের ব্যাপারীরা কাদের থেকে গাছ জমা নেয়?
পঞ্চায়েতের থেকে।
৪) মাজার মানে কি?
পিরসাহেবের কবরস্থান।
৫) দৌলত মাজারের বনে কি কি গাছ আছে?
শাল, শিশু, গামার প্রভৃতি বন আছে।
৬) দৌলত মাজারের বনে গাছ কাটা নিষিদ্ধ কেন?
কারণ সেখানে মাজার আছে।
নিজের দেখা বনখণ্ড
১) সামাজিক বনসৃজন কাকে বলে?
নির্দিষ্ট বনসীমার বাইরে পতিত বা অব্যবহৃত জমিতে গাছ লাগানোর মাধ্যমে বনভূমি সৃষ্টির যে উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাকে সামাজিক বনসৃজন বলে।
২) সামাজিক বনসৃজনে লাগানো হয় এমন কয়েকটি গাছের নাম লেখো।
শাল, সেগুন, মেহগনি, ইউক্যালিপটাস, দেবদারু প্রভৃতি।
৩) সামাজিক বনসৃজনে কোন কোন জমি ব্যবহার করা হয়?
রাস্তা ও রেললাইনের পাশের ফাঁকা জমি, পুকুর ও নদীর পাশের জমি, বিদ্যালয়, খেলার মাঠ বা কারখানা সংলগ্ন জমি ব্যবহার করা হয়।
বন্যপ্রাণী সুরক্ষা
১) 'বনে থাকে বাঘ' কবিতাটি কে লিখেছেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২) বর্তমানে দেশে বাঘের সংখ্যা কত?
দুই হাজারের কম।
৩) বনে কোন বাঘের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি?
ডোরাকাটা বাঘের সংখ্যা।
৪) মানুষ বাঘ মারত কেন? অথবা বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ কি?
• বাঘের আক্রমণ থেকে নিজেকে এবং অন্যান্যদের বাঁচাতে মানুষ বাঘ মারত। তবে বন্দুক দিয়ে বাঘ মেরে সেই ছবি ঘরে টাঙিয়ে রাখত নিজেদের বীরত্ব দেখানোর জন্য। অনেকে আবার বাঘের চামড়া দেওয়ালে টাঙানোর জন্যও বাঘ মারত।
• এছাড়া বর্তমানে বনভূমি ধ্বংসের ফলে বাসস্থান এবং খাদ্যের অভাবেও বাঘের সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
৫) বাঘ বিলুপ্ত হলে পরিবেশের কি ক্ষতি হবে?
বাঘ বনের তৃণভোজী প্রাণীদের খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে। বাঘ বিলুপ্ত হলে তৃণভোজী প্রাণীর সংখ্যা বাড়বে যার ফলে বনের গাছপালা কমতে থাকবে। ফলে বনের বাস্তুতন্ত্র ভেঙে পড়বে। এছাড়া বনে বাঘের অস্তিত্ব আছে বলেই মানুষ নির্বিচারে গাছপালা কাটতে বাধা পায়।
৬) দুটি অবলুপ্ত পাখির নাম লেখো।
ডোডো পাখি, হুইয়া পাখি।
৭) পালকের জন্য মানুষ কোন পাখিকে মেরে ধ্বংস করেছে?
হুইয়া পাখিকে।
৮) মানুষ গণ্ডার মারে কেন?
গণ্ডারের খড়গের জন্য মানুষ গণ্ডার মারে।
৯) মানুষ হাতি মারে কেন?
হাতির মূল্যবান দুটি দাঁতের জন্য মানুষ হাতি মারে।
১০) বন্যপ্রান সপ্তাহ কোন সময়ে পালিত হয়?
প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ বন্যপ্রাণ সপ্তাহ হিসাবে পালিত হয়।
১১) কোন সময়ে অরণ্য সপ্তাহ পালন করা হয়?
প্রতি বছর জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ অরণ্য সপ্তাহ হিসাবে পালন করা হয়।
১২) বন্যপ্রাণীদের অবলুপ্তির কারণ কি?
• বনভূমির আয়তন হ্রাস- জনসংখ্যার অত্যাধিক বৃদ্ধির ফলে বনভূমি ক্রমশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বন্যপ্রাণীরা তাদের প্রাকৃতিক বাসস্থান হারিয়ে ফেলছে।
• খাদ্যের অভাব- বনভূমির পরিমাণ ক্রমশ কমে যাওয়ার ফলে বন্যপ্রাণীদের পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাব ঘটছে।
• চোরা শিকার- অনেক বনভূমিতে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী শিকারের ফলেও এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
১৩) বন্যপ্রাণীদের কীভাবে রক্ষা করা যায়?
• বাঘ সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের জন্য বাসভূমি সুনিশ্চিত করতে বিভিন্ন অভয়ারণ্য, সংরক্ষিত অরণ্য, জাতীয় উদ্যান, পাখিরালয় প্রভৃতি গড়ে তুলতে হবে।
• চোরা শিকার বন্ধ করে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে।
• লুপ্তপ্রায় প্রাণীদের চিহ্নিত করে তাদের সংরক্ষণ করতে হবে।
পরিবেশ, খনিজ ও শক্তিসম্পদ তা সে যতই কালো হোক
১) পশ্চিমবঙ্গের প্রধান খনিজ সম্পদ কোনটি?
কয়লা।
২) পশ্চিমবঙ্গের দুটি কয়লাখনি অঞ্চলের নাম লেখো।
বর্ধমানের রাণীগঞ্জ এবং আসানসোল।
৩) আসানসোল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কত উঁচুতে?
প্রায় ১০০ মিটার উঁচুতে।
৪) কয়লাখনির মধ্যে আলোর জ্যোতি কম হয় কেন?
কালো রং আলোকে শোষণ করে নেয়। কয়লাখনির মধ্যে মেঝে, দেওয়াল, ছাদ সবদিকেই থাকে কালো কয়লা। তাই খনির মধ্যে ইলেকট্রিকের আলো কয়লার কালো রং দ্বারা শোষিত হয়। ফলে আলোর জ্যোতি কম হয়।
কেমন করে হল কালো
৫) আসানসোল রাণীগঞ্জ কয়লাখনি অঞ্চলের আয়তন কত?
প্রায় দেড় হাজার বর্গকিমি।
৬) জলন্ত কাঠ জল দিয়ে নেভালে কি তৈরি হয়?
কাঠকয়লা। পুল
৭) কাঠকয়লা দিয়ে কি বানানো যায়?
তুবড়ি।
পুড়ে পুড়ে তাপ দিল, রইল পড়ে ছাই
৮) কালো হিরে কাকে বলা হয়?
কয়লাকে।
৯) কয়লার বেশিরভাগ অংশ জুড়ে কি আছে?
কার্বন আছে।
১০) কোন ধরণের কয়লা পোড়ালে ছাই বেশি হয়?
যে সকল কয়লায় কার্বনের পরিমাণ কম সেইপ্রকার কয়লা পোড়ালে ছাই বেশি হয়।
১১) কয়লায় কার্বনের পরিমাণ কমবেশি হয় কেন?
যে সকল কয়লা মাটির অনেক গভীরে অধিক চাপ ও তাপে বেশি সময় ধরে সৃষ্টি হয়, সেই সকল কয়লায় কার্বনের পরিমাণ বেশি থাকে। কিন্তু যে সকল কয়লা মাটির কম গভীরে কম চাপ ও তাপে কম সময় ধরে সৃষ্টি হয় সেই প্রকার কয়লায় কার্বনের পরিমাণও কম থাকে।
১২) কয়লা পুড়লে কি কি সৃষ্টি হয়?
কয়লা পুড়লে প্রচণ্ড তাপের সৃষ্টি হয় এবং পোড়ার সময় সামান্য ধোঁয়া ও ছাই উৎপন্ন হয়।
১৩) কয়লা বা পেট্রোলিয়াম কীভাবে সৃষ্টি হয়?
কোনো স্থানে ভূমিকম্পের ফলে সেখানকার উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ মাটির তলায় চাপা পড়ে যায়। হাজার হাজার বছর ধরে মাটির তলার চাপ ও তাপে এগুলি পরিবর্তিত হতে থাকে। অবশেষে উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহের কার্বন অংশগুলি জমাট বেঁধে কয়লায় পরিণত হয় এবং পচে যাওয়া অংশ তরল হয়ে পেট্রোলে পরিণত হয়।
কয়লার ধোঁয়া : দূষণ
১৪) কয়লার ধোঁয়ায় থাকা চারটি গ্যাসের নাম লেখো।
সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোঅক্সাইড।
১৫) কয়লার ধোঁয়ায় থাকা সবচেয়ে বিপজ্জনক গ্যাস কোনটি?
কার্বন মনোঅক্সাইড।
১৬) কয়লার ধোঁয়াতে শরীরের কোন অঙ্গ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
চোখ।
১৭) কয়লার ধোঁয়া থেকে কীভাবে অ্যাসিড বৃষ্টি সৃষ্টি হয়?
কয়লার ধোঁয়ায় থাকে সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোঅক্সাইড প্রভৃতি বিষাক্ত গ্যাস। এই গ্যাসগুলি বাতাসের জলীয় বাষ্পের সঙ্গে বা বৃষ্টির জলের সঙ্গে মিশে সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, কার্বনিক অ্যাসিড প্রভৃতি সৃষ্টি করে। এইসব অ্যাসিড আবার বৃষ্টির জলের সঙ্গে মিশে ভূপৃষ্ঠে ঝড়ে পড়ে। একেই অ্যাসিড বৃষ্টি বলে।
১৮) অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাব লেখো।
• চুনাপাথর বা মার্বেল দিয়ে তৈরি সৌধ ক্ষয় হয় এবং এদের উজ্জ্বলতা কমে যায়।
• মানুষের ত্বকের রোগ দেখা দেয়। এছাড়া স্টোন ক্যানসার হতে পারে।
• গাছের পাতা কালো হয়ে যায়।
. মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়।
ধস না নামে যেন
১৯) খনি অঞ্চলে প্রায়ই কি প্রকার দুর্যোগ দেখা যায়?
ধস।
২০) কয়লা তোলার পর খনির ফাঁকা জায়গাগুলি কি দিয়ে ভরাট করে দিতে হয়?
বালি দিয়ে।
২১) খনি অঞ্চলে ধস নামার কারণ কি?
খনি থেকে অধিক পরিমাণে খনিজ সম্পদ তোলা হলে নীচে ফাঁকা হয়ে যায়। ফলে উপরের মাটি কোনো প্রকার অবলম্বন না পেয়ে ধসে পড়ে।
২২) খনি অঞ্চলে গাছ লাগানো উচিৎ কেন?
খনি অঞ্চলে গাছ লাগানো উচিৎ যাতে গাছের শিকড়গুলি মাটির নীচে জালের মতো ছড়িয়ে পড়ে এবং মাটিকে শক্তভাবে ধরে রেখে ভূমিধস আটকায়।
২৩) কয়লাখনি অঞ্চলের ধসের মোকাবিলা কীভাবে সম্ভব?
• কয়লাখনি অঞ্চলে থাকা গর্তগুলিকে ফেলে না রেখে সেগুলিকে বালি বা মাটি দিয়ে ভরাট করে দিতে হবে।
•কয়লাখনি সংলগ্ন অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে।
•কয়লাখনি থেকে অধিক পরিমাণে কয়লা না তুলে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় তুলতে হবে।
কম- গরম আগুন, বেশি- গরম আগুন
২৪) গুল কীভাবে তৈরি করা হয়?
কয়লার গুঁড়োর সঙ্গে মাটি মিশিয়ে।
২৫) কি প্রকার কয়লার আগুনে গরম বেশি?
যে কয়লায় কার্বনের পরিমাণ বেশি থাকে সেইপ্রকার কয়লার আগুনে গরম বেশি।
২৬) বেশি গরম আগুনের একটি ব্যবহার লেখো।
লৌহ ইস্পাত কারখানায় লোহা গলাতে বেশি গরম আগুন লাগে।
২৭) কম গরম আগুনের একটি ব্যবহার লেখো।
রান্না করা।
২৮) পেট্রোলিয়ামের বাংলা অর্থ কি?
খনিজ তেল।
২৯) পেট্রোলিয়াম কেমন দেখতে?
থকথকে কাদার মতো।
৩০) পেট্রোলিয়ামের চারটি উপজাত দ্রব্যের নাম লেখো।
পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন ও ভেসলিন।
৩১) কয়লার চারটি উপজাত দ্রব্যের নাম লেখো। আলকাতরা, ন্যাপথলিন, স্যাকারিন, পিচ।
৩২) কয়লার কয়েকটি ব্যবহার লেখো।
• কয়লা রান্নার কাজে ব্যবহার হয়।
•লৌহ ইস্পাত শিল্পে লোহা গলাতে কয়লা কাজে লাগে।
• তাপবিদ্যুৎ তৈরিতে কয়লার ব্যবহার সর্বাধিক।
৩৩) দুটি জ্বালানি খনিজের নাম লেখো।
কয়লা ও খনিজ তেল।
নানাভাবে বিদ্যুৎ
৩৪) সাদা কয়লা কাকে বলে?
জলবিদ্যুৎকে।
৩৫) বিদ্যুৎকেন্দ্রের মস্ত পাখার মতো দেখতে যন্ত্রটির নাম কি?
টারবাইন।
৩৬) জলবিদ্যুৎ কীভাবে তৈরি হয়?
পাহাড়ি নদীর জলের স্রোত তীব্র হওয়ায় সেই স্রোতের মুখে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বড় পাখা বা টারবাইন ঘোরানো হয়। এর ফলে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
৩৭) কোন নদীর জলকে কাজে লাগিয়ে ভুটানের ঝালং জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়?
জলঢাকা নদীর জলকে কাজে লাগিয়ে।
৩৮) জেনারেটর কিসের সাহায্যে চলে?
ডিজেলের শক্তিতে চলে।
৩৯) ডায়নামো এবং জেনারেটরের মধ্যে পার্থক্য কি?
ডায়নামো চালু করতে বেশি পরিশ্রম হয় এবং ডায়নামোতে ছোট একটি বাল্ব থাকে। কিন্তু জেনারেটর বিদ্যুতের শক্তিতে চলে এবং অনেক আলো জ্বলে।
জলের স্রোত, সূর্যের তাপ
৪০) পৃথিবীতে সকল শক্তির উৎস কি?
সূর্য।
৪১) সূর্যের আলোর সাহায্যে কীভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করা যায়?
সূর্যের আলো সোলার প্যানেলে ফেলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়।
৪২) সৌরবিদ্যুৎ কাকে বলে?
সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সূর্যরশ্মিকে কাজে লাগিয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়, তাকে সৌরবিদ্যুৎ বলে।
৪৩) সৌরবিদ্যুৎ কি কি কাজে ব্যবহার হয়?
•সোলার লাইট জ্বালাতে ব্যবহার হয়।
• সোলার কুকারের সাহায্যে রান্না করা যায়।
• শীতের সময় ঘর গরম রাখতে সৌরহিটার ব্যবহার হয়।
• এছাড়া জল গরম করতে, শস্য শুকোতে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার হয়।
৪৪) জলচক্র কাকে বলে?
সূর্যের তাপে বিভিন্ন জলাশয় থেকে জল ক্রমাগত বাষ্পীভূত হয়ে উপরে উঠে মেঘরূপে ভেসে বেড়ায়। এরপর মেঘের মধ্যে ভাসমান জলকণাসমূহ ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি বা তুষাররূপে পৃথিবীতে নেমে আসে। শেষে ওই বৃষ্টি বা তুষারগলা জলের বেশিরভাগ অংশ নদনদীর মাধ্যমে সমুদ্রে ফিরে যায় এবং পুনরায় সূর্যের তাপে বাষ্পীভূত হয়ে উপরে উঠে যায়। এইভাবে জল কখনও বাষ্প, কখনও মেঘ আবার কখনও তুষাররূপে পৃথিবীতে আবর্তিত হয়ে যে চক্র সৃষ্টি করে, তাকে জলচক্র বলে।
প্রচলিত শক্তি, অপ্রচলিত শক্তি
৪৫) প্রচলিত শক্তি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
শক্তি উৎপাদনের যে সকল উৎসগুলি মানুষ বহুকাল ধরে ব্যবহার করে আসছে এবং বর্তমানেও যেগুলির ব্যবহার খুব বেশি, সেগুলিকে প্রচলিত শক্তি বলে। যেমন- কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি।
৪৬) প্রচলিত শক্তির দুটি সুবিধা লেখো।
•প্রচলিত শক্তির উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি।
•প্রচলিত শক্তি উৎপাদনের প্রাথমিক ব্যয় কম।
৪৭) প্রচলিত শক্তির দুটি অসুবিধা লেখো।
প্রচলিত শক্তির ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ ঘটে।
প্রাথমিক ব্যয় কম হলেও প্রচলিত শক্তির উৎপাদন ব্যয় অনেক বেশি।
প্রচলিত শক্তির সঞ্চয় যেহেতু সীমিত তাই ক্রমাগত ব্যবহারের মাধ্যমে একদিন ফুরিয়ে যাবে।
৪৮) অপ্রচলিত শক্তি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
শক্তি উৎপাদনের যে সকল উৎসগুলি বহুকাল ধরে প্রচলিত নয় এবং বর্তমানে অল্প পরিমাণে ব্যবহার হয়, সেগুলিকে অপ্রচলিত শক্তি বলে। যেমন- সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি প্রভৃতি।
৪৯) অপ্রচলিত শক্তির দুটি সুবিধা লেখো।
•এইপ্রকার শক্তির ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ হয় না।
• এইপ্রকার শক্তির উৎস পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই পাওয়া যায়।
•এই শক্তির ভাণ্ডার অফুরন্ত।
৫০) অপ্রচলিত শক্তির দুটি অসুবিধা লেখো।
অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনের জন্য উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন।
• এই শক্তির উৎপাদন ক্ষমতা অনেক কম।
•এই শক্তি উৎপাদনের প্রাথমিক ব্যয় অনেক বেশি।
৫১) সোলার লাইট কি?
সৌরশক্তি থেকে তৈরি বিদ্যুৎ দিয়ে যে লাইট জ্বালানো হয়, তাকে সোলার লাইট বলে।
৫২) সোলার কুকার কি?
যে যন্ত্রের সাহায্যে সৌরতাপ ধরে রেখে তার তীব্রতা বাড়িয়ে রান্না করা হয়, তাকে সোলার কুকার বলে।
৫৩) জৈব গ্যাস শক্তি কি?
উদ্ভিদ ও প্রাণীদের পচা বর্জ্য থেকে যে গ্যাস শক্তি উতপাদন করা হয়, তাকে জৈব গ্যাস শক্তি বলে।